Posts

Showing posts from July, 2019

বিষাক্ত মানুষ

বিষাক্ত মানুষ .............কাব্য আমায় ভালোবাসতে এসো না কখনো নারী, নিঃশ্বাসে লেগে কয়েকশো বছরের বিষ! বুকের আগুনের অছিলায় যদি শরীর ভোগ করতে চাও লাভ নেই , বহুদিন ঢাকা পরে আছি মৃত  লতাগুল্মে যুগের অভিজ্ঞতায়! আমার আস্তিনের রক্তে ভালোবাসা গাংচিল, আমি তো উপস্থিতি মাত্র! আমায় ভালোবাসতে এসো না কখনো নারী, নিঃশ্বাসের ফাঁকে কখন যেন জলফড়িং সবুজ পাতার ডগায় ডগায়! আমি ঈশ্বর নই, তাই বোধহয় সাধ হয় মাঝে মাঝে জড়িয়ে ধরি নারী সাগর! ডুব দি তোমার নরম শরীরে সে তো মুহূর্ত মাত্র! আমি রক্ত করবীর নায়ক সাজি যদি, তুমি কি নন্দিনী হতে পারবে ? তাই দরজা বন্ধ করো ,জানলা বন্ধ করো, আমাকে ভরসা করো না প্রিয়! যে সময়ের জেহাদ লেগে আছে আমার বুকের জঙ্গলে সেখানে হারাতে চেও না , দাবানলে পুড়ে যেতে পারো! আমায় ভালোবাসতে এসো না কখনো নারী, শুধু বিশ্বাস করতে পারো মানুষ হিসেবে! কিন্তু কখনো ভুল করে, সোহাগের আদর দেখিয়ো না, আমার নাকে রজনীগন্ধা বিষ! বহুযুগ উপোষী বাঘের মতো এই মৃত সময়ে আমি মুসাফির, আমার নখে লেগে ভালোবাসার রক্ত, তাই আমাকে জড়িয়ে ধরো না প্রিয়!!

কাকে খোঁজে মন

কাকে খোঁজে মন ................কাব্য বাসে ট্রামে দিনে রাতে কাকে খুঁজি! সকালের ঘুম ভাঙা আদুরে স্পর্শে, কাকে খুঁজি! কাকে খুঁজি আমি বিকেলের ময়দানে, আবছা অন্ধকারে! একবার বলও  তুমি জানো না শুধু একবার তুমি আমার চোখের স্বপ্নে চান করো! কথা দিলাম তোমায় দেখবো না নগ্ন আমি, তোমাকে জড়াবো না আমি লতার মত! শুধু দেখবে তোমাকে আমার চোখে, তাপরও বলতে পারবে তুমি জানো না ? কার সম্বলে এ জীবন বাঁচে, কাকে খোঁজে মন দিনে রাতে! এখনও যদি না বোঝো, তবে বলবো না কোনদিন কাকে খোঁজে মন আর কাকে ভালোবাসে!

সময় কাঁদছে

সময় কাঁদছে ............কাব্য বিবর্ণ গোধূলির আলোয় এক মায়ার সিঁড়ি নেমে আসে আকাশ থেকে! সময় বলছে ভালো নেই সে মানুষ কাঁদছে আর কাঁদছে! রঙ চটা আকাশের গায়ে নীল প্লাসটার, তার এখানে ওখানে বেড়িয়ে আসা সাদা রঙ, যেন মৃত্যুর কফিন! সময় কাঁদছে ,শুনতে পাও তোমরা, সময় কাঁদছে শ্মশানের গায়ে চোখ জ্বালা ভাব, চোখের জল পড়ছে! ঝরে পড়ছে যেন না চাওয়া বৃষ্টি ফসল পচবে ,পচবে মানুষ আর মানুষের মন! ধুর সে তো কবেই পচে গেছে আর কি পচবে নতুন করে! শুধু এখন ভালো নেই সময় শুধু কাটছে,কেটে চলেছে আলোর থেকে অন্ধকারে! দেখো রাত্রি আসছে, সবাই ঘুমিয়ে পড়েছে, নিস্তব্ধ, শান্ত মৃত শরীর, এবার পুড়বে একটু পরে; শুধু সময় কাঁদছে!

খেয়ালি জীবন

খেয়ালি জীবন ..............কাব্য জীবনের সব অশনি সংকেত মাড়িয়ে, এক ক্ষুদ্র হৃদয়ের আশায় হাত গুণী, স্বপ্নিল ভালোবাসার আশায়! বারে বারে ভুলি তৃপ্তি মাখানো নেই, লোভ লালসায়! বারে বারে করি একি ভুল লোক লজ্জায়! সৃষ্টি নিয়মের বাইরে এক গোলক, যার আপাদমস্তক মোড়া মিথ্যা শয্যায়! রাম , শ্যাম ,যদু ,মধু সবাই ছিল আর থাকবে সম্পর্কে! করতাল বাজাবে সবাই পরে গেলে, কাঁদবে কেউ কেউ মরে গেলে , কিন্তু হাসাবে না কষ্ট হলে! একটা জীবন বাঁচো তাই ফিরবে না সে চলে গেলে! সব জানি সব বুঝি তবু ভুলের পাহাড়, পাহাড়ের উপর মাটির তৈরী দেয়াল! বড্ড নরম যে হৃদয়ের মাটি জীবন এ হাসা কাঁদা তোর খেয়াল!

আমি আর কবিতার তুমি

আমি আর কবিতার তুমি ....................কাব্য+ঋষি আজও ফুটপাথে  কবিতার পাণ্ডুলিপি প্রিয়, আজও প্রেম ঝরে চোখের পাতায় জানো! আমার তোমার সাত সমুদ্র লিপি প্রিয়, ঠিক ছুঁয়ে যায় দখিন হাওয়া যেন! নিত্য নতুন এক অন্তর দাহ হৃদয়ের, নিত্য এক অনিবার্য কল্পনা! সব ছুঁয়ে দিয়ে চোখের নোনা জল প্রিয়, বৃষ্টি আর প্রেমের জল্পনা! প্রিয় তুমি কখনো কাঁদতে থাকো হৃদয়ে, কখনো তুমি হাসির কদম ফুল! প্রিয় তোমার স্পর্শে কখনো হৃদয় ভাঙে, কখনো তুমি প্রেমের প্রথম ফুল! তুমি কখনও মেঘলা ঝোড়ো বাতাস, কখনো তুমি মৃত্যুর হাতছানি! চারিদিক সব হয়ে যায় খালি ফ্যাকাসে, শুধু বেঁচে থাকে নীরবতার বাণী! কখনও তুমি সুনীলের প্রেমের নারী প্রিয়, কখনো বা শক্তির আবাহন! তরুণ কবি শ্রীজাত প্রেমে ভাসে তুমি আদি চণ্ডীর চরণ! কলেজ গেটে ,অফিস পাড়ায় যেখানেই চায় সেখানে তুমি থাকো প্রিয়, কবিতা আমি তোমার প্রেমে পাগল, আমায় তুমি এমনি জড়িয়ে রাখো! আজও জীবনে তোমার স্পর্শ আছে, আজও হৃদয়ে বাঊলে সুর আসে! কবিতার তুমি ছড়িয়ে ছিটিয়ে জীবনে, বাঁচার ইচছা আমার জাগিয়ে রাখে!

ওলোটপালোট

ওলোটপালোট ..............কাব্য বহুকাল কবিতা লিখতে পারছি না, যা লিখছি তা শুধু পাগলের প্রলাপ অজস্র চেষ্টা! হয়তো আমি পাল্টে চলেছি নিজের ভিতর কোনো শেওলা মানব, যে শুধু সবুজ খুঁজছে! কিংবা কোনো সূর্যাস্ত সভ্যতার ইতিহাস লিখতে চাইছে, নিজের ভিতর ক্রমশ ফুরোনো আলোতে! রৌদ্রে পোড়া সময়ে পুড়ে চলেছে শ্রমিকের হাত, সময়ের ছোট মনে এখন গ্লোবালাইজেশন! ধর্মের আগুন এখন শুধু রাজনৈতিক রাবন, যে শুধু জটায়ুকে বোধ করে চলেছে! নারী হত্যা ,ভ্রন হত্যা ,বিপ্লবের মৃত্যু শুধু সাক্ষী রেখে গেছে সেই ধর্ষিত আদিবাসী সভ্যতার বুকে! আমার শব্দরা আজকাল শুয়ে আছে মৃত্যু বুকে নিয়ে চিতার আগুনে আজকাল আমার বারুদের গন্ধ! কিছু পাল্টাচ্ছে না কিছুর বদল নেই , শুধু সময়ের কামানে এখন ঘুম পাড়ানির গান, মানুষকে ঘুম পড়ানোর মন্ত্র! আমি চাই কোনো এক সকালের ঈশ্বরের কুঠারে, ফিরে আসুক সেই আদিম সভ্যতা! আমার গায়ের শেওলাগুলো উঠে গিয়ে শব্দ চাপা হোক, সময়ের ছাপাখানায় তখন সব ওলোটপালোট ,শুধু আলোর দিন! আর সকালে সূর্যের হাসিতে হেসে উঠুক সেই বেওয়ারিশ ছেলেটা যার মৃত্যু বুকে!!

ছায়া যুদ্ধ

ছায়া যুদ্ধ ...........কাব্য অন্তর্বর্তী কোনো ছায়া যুদ্ধ কেন জানি আজকাল যুদ্ধ শব্দটা খুব সহজে সময়ের পাতায়! ফোঁটা ফোঁটা রক্ত ,এদিকে ওদিকে ছড়ানো বডি, অসংখ্য হাড়গোড় বেড়োনো সমাজ! রিমেকের হিড়িক, আমাদের আর নতুন কিছু কি করার নেই ? কিছুটা এগিয়ে গেলে সুদিনদার চায়ের দোকান, জানতে ইচ্ছে করে চায়ের দোকানের মালিকের নাম  সুদিন কেন ? নরেন্দ্র হতেই পারে! একদল কুকুর  সময়ের রাস্তায় সহবাস করছে ,ঝগড়াও, আচ্ছা মেয়ে কুকুরগুলো এমন সস্তা কেন ? সকলের সাথেই চলে যাচ্ছে! হাজারো রাস্তা ,হাজারো তার নাম ,তার দিশা, প্রতিটা রাস্তার শেষে বিভ্রান্তিকর অদ্ভুত রঙিন মলাট! বিষয়বস্তুর নাম কি আশ্চর্য একটা  যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা চলছে অথচ সবাই আড়ালে! অন্তর্বর্তী কোনো ছায়া যুদ্ধ আমার শব্দরা ক্রমশ দুর্বোধ্য কোনো সময়ের কফিন! কারণ আমি জানি কলমই যুদ্ধের শেষ অস্ত্র , মৃত্যুর আগে মানুষের লড়াইগুলো যে টুঁটি চেপে ধরছে সময়! এই যুদ্ধের অস্থিরতায় বেড়ে যাচ্ছে, মানুষের ভাতের কান্না আর ভালোবাসার রোগ!!

পাতা ঝরা

পাতা ঝরা ........কাব্য অতিপরিচিত রোদে পুড়ে চলা সবুজের টান প্রিয়, এক ঝাঁক পাতা! খয়েরী আভা বাড়িয়ে তুলছে পিছুটান শহরের অলিগলি হাঁপিয়ে ওঠা সম্বল! নিজেকে ভোলাতে হেঁটে চলা অজস্র অযুতনিযুত অজুহাত পরিচিতরা বলে শুভকামনা! হাসিতে লেগে আছে নাগরিক অধিবেশন, একটা বিশাল শবযাত্রা, সৎকারের উদ্দেশ্যে এগিয়ে চলে অজান্তে! শহরের অলিগলি পেরিয়ে খোলা নর্দমা ,ময়লা খুপচি বাড়ি ,হারানো উঠোন ,লুকোনো হাসি, চাপা পড়েছে  ক্রমশ অগরু  আর ধূপকাঠিতে! কিছুক্ষনের মধ্যে অন্ধকার ঢেকে যায় চেনা শহরে, চেনা পথে অজস্র অচেনার মাঝে আমি নির্বাসিত! কানের গভীরে কে যেন হেসে বলে, একদম মনখারাপ না ,একদম একলা না! আমিও হেসে উঠি অজান্তে, দূর থেকে শুনতে পাই মৃত্যু পথযাত্রীদের শব্দ শুকনো পাতাঝরার! অতিপরিচিত রোদ,বোধহয় নিম্নচাপ, কিছুক্ষণের মধ্যে অন্ধকার আমার শহরের বুকে! আমার মতো কেউ দেখতে আমার দিকে এগিয়ে আসে মুখে তার অনেকদিনের লুকোনো বৃষ্টি! সবাই বলছে সময়ের রোগ আর আমি স্কচে'র সঙ্গে বরফের বদলে গিলতে থাকি আফসোস, এক আকাশ আফসোস প্রিয়!!
তোমার শব্দগুলো জুড়ে একটা কবিতা লিখতে চাই প্রিয়, আর তো কিছু পারি না আমি! অন্ধকার পর্দার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে অজস্র কালচিত্র, আবিষ্কার শুধুই আর্দ্রতা সূত্র! আর  তো কিছুই পারি না ভালো চাওয়া  ছিনিয়ে এনে চোখে তুলে ধরা, কাস্তে ,হাতুড়ি ,তারা শ্রমিকের মানদণ্ড! গোপন ইশারা, তোমার বুকের লুকোনো তিলে আশ্চর্য তারিখ, না ভালোবাসি বলতে পারি না প্রিয়, তোমার মস্তিস্ক নিউরনে স্নায়ু যুদ্ধের ছন্দপতন, আয়নায়  লাগানো ঠোঁট! বারংবার বম্বিং , আকাশ থেকে নেমে আসা অসংখ্য আশীর্বাদ, সময়ের নীতিতে ঝিমিয়ে  পড়া ভ্রূণ মৃত্যু, সময় এগোচ্ছে প্রিয়! তোমার অবয়ব জুড়ে শুধু এতটুকু ভালো চাওয়া, আর তো কিছু পারি না  আমি! সময়ের কালো পর্দার ওপারে সবটাই আগন্তুক, আবিষ্কার শুধু নতুন সময় প্রিয়!! ..............কাব্য

ম্যানিকুইন

ম্যানিকুইন .........কাব্য সত্যি বলতে কি ইসু আমরা কেউ ভালো নেই, দেওয়ালে আটকানো ক্যালেন্ডার, ঠিক যেমন হাওয়ায় উড়ছে ,ঠিক তেমনি! ঠিক যেন আকাশে শকুন আর মাটিতে ছোট্ট জীবন তার মধ্যে আমরা  ভালো থাকার কারণ খুঁজছি!  আগে পরে কিছু নেই বারংবার বিব্রত হয়ে ঈশ্বরের চোখের দিকে তাকাচ্ছি আমরা! আর মৃত ঈশ্বর একইরকম হেসে চলেছেন , সেই হাসিতে কোনো স্বাদ নেই ,কেমন একটা বিস্বাদ! এরই মাঝে আমরা এগিয়ে চলেছি, মৃত মিছিলে। আমাদের হাতে মোমবাতিতে লেখা শিশু ধর্ষণ ,কর্মহীনতা মানুষের হাজারো পাপ! শুধু আকাশের দিকে তাকিয়ে আমরা পিঠ চাপড়াচ্ছি নিজেদের, কিন্তু  হিসেবের খাতায় ক্রমশ আমরা ফুরিয়ে চলা একটা সভ্যতা! আমরা হাসছি, ঠিক যেন গ্লোবালাইজেশনের কোনো মলে, সাজানো ম্যানিকুইন! সত্যি বলছি ইসু, আজকাল লিখতে বসলে ,লেখার পাতায় রক্ত বৃষ্টি হয়, মানুষের সভ্যতার! আমরা কি তবে নিজেদের ভিতর ক্রমশ কুন্ডলী পাকাচ্ছি, হয়ে উঠছি  সব বিষাক্ত অজগর!!

অবাক পৃথিবী

অবাক পৃথিবী .............কাব্য লুকোনো স্বপ্নগুলো তাড়া করে আমি তোমার  গভীর  উঠোনে গিয়ে উঠি প্রিয়! তোমার  আঁচল টেনে ধরে নিজেকে ঢাকতে চেষ্টা করি অজস্র চোরাবালি আমার চারিপাশে! অবাক চোখে পৃথিবী দেখি চিনতে পারি না সময় ,চেনবার চেষ্টা করি নিজেকে তোমার আয়নায় প্রিয়! বারংবার নিজের কবিতায় তুমি কখনো হয়তো নবারুণের ধারালো সূর্য আমি ছুঁতে চাই বামনের মতো! আবার নিজের  আয়নায় তাকিয়ে দেখি নিতান্ত সাধারণ এক পুড়ে চলা মানুষ  বাস্তবতায়! দগ্ধ আধ পোড়া সিগারেটের আগায়  তামাটে পৃথিবী, স্বপ্ন ফেরি করে আমি সময় কিনি, কিনি কষ্ট ,গলার কাছে আটকে থাকে না বলাগুলো!  হঠাৎ কখন দক্ষিণের জানলা দিয়ে, একফালি মিষ্টি হাওয়া কানে কানে বলে, কই রে ,কখন থেকে খুঁজছি তোকে ,কেমন আছিস;  আমি ফেটে পড়ি হাসিতে জীবনের কথায় , সবটাই সামাজিক! লুকোনো স্বপ্নগুলো তাড়া করে আমি তোমার উঠোনে গিয়ে উঠি প্রিয় প্রতিদিন! স্বর্গের দুয়ারে দাঁড়িয়ে তোমার অপেক্ষায়, অবাক চোখে সাক্ষী হয়ে থাকি পৃথিবীর মিথ্যে বাঁচায়! আর তারপর কখন যেন রাত্রি হয় প্রিয়, আমাকেও ফিরে যেতে হয় প্রিয়,তোমাকে ছেড়ে সাজানো রাস্তায়!!

মনের আয়না

মনের আয়না ............কাব্য আয়নার সামনে তুমি থেকো না কি দেখবে ওখানে ? তোমার রূপ! সে তো চিরদিনের নয় মরছে পড়বে, কুঁচকে যাবে , বদলে যাবে সময়ের সাথে! বারে বারে বলি আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে থেকো না কোনও লাভ নেই! যদি দেখতে হয় দেখো হৃদয় জানলার বাইরে! খোঁজো নিজেকে সেখানে, খোঁজো তোমার অন্তরের রূপ! যদি দাঁড়াতেই হয়, দাঁড়াও নিঝঞ্ঝাট সময়ের বাইরে! মাপবে কতোটা পবিত্র তুমি ওটাই তো তোমার আসল রূপ! বারে বারে বলি মনের  জানলা বন্ধ রেখো না! তাহলে হারিয়ে যাবে তোমাকে খুঁজবে না কেউ , আয়নার সামনে তুমি থেকো না!

পাখির স্বপ্ন চোখে

পাখির স্বপ্ন চোখে ...................কাব্য আমি কাব্য সেই সাধারণ ছেলেটা, যারা আমাকে চেনেন না , তাদের জন্য বলা আমি সেই ছেলে, যার স্বপ্ন ছিল চোখে পাখি হওয়ার! ঊড়ে বেড়ানোর গাছে গাছে , হৃদয়ের পাতাগুলো ছিল সবুজ আর মনের জানলায় ছিল সাজানো স্বপ্ন! আমি সেই ছেলেটা যাকে বাবা বলতেন, তুই একদিন গায়ক হবি দেখিস! মা বলতেন আদিখ্যেতা ,বয়স বাড়ছে হূশ নেই ছেলেটার!! আমি সেই আদুরে ছেলে যার বয়স বাড়ে, অন্য ছেলেদের মতও আমারো বেড়ে ওঠা চির চেনা খেলার মাঠে! আজ আমি শহরে, আপনারা জানেন  প্রিয়,আমি আজ আপনাদের শহরে! একটু মোটা হয়েছি, দু- একটা চুলো বোধ হয় পাকা! এই তো সেদিন গান গায়লাম মেসেঞ্জার নামক এক গ্রুপ কলে, বাহ্ বাহ্ পেলাম বেশ! সবাই বোল্লো বেশ গায় ছেলেটা, আমি কিন্তু খুশী নয় ,কারণ একটা আছে প্রিয়! আপনারা জানেন বোধ হয়, আমি কাব্য সেই সাধারণ ছেলেটা যার পাখী হওয়ার স্বপ্ন ছিল, তা আর এ সভ্য আলোকে হলোনা প্রিয়!!

জীবন্ত কৌতুক

জীবন্ত কৌতুক ...............কাব্য জীবন্ত যাতনার একটা গল্প আছে, যখন ঢুকে যায় গরম লোহা অনেক ভিতরে! কিংবা গায়ে ঝরে পড়তে থাকে লালচে সীসে, তখন পুড়ে যায় অতি প্রিয় জীবন! নীল আভায় রাঙানো প্রাগৈতিহাসিক সমুদ্রে যদি মেশে জ্বলন্ত লাভা মেশে কতটুকু ,পোড়ে জীবন তার থেকে বেশি! জীবাশ্মের গায়ে লেগে থাকা ডিএনএ জানান দেয়, আজকের বিশেষ খবর একটা জীবন ফুরিয়ে যায় বা বেঁচে যায়, কিন্তু আসল কথা কার কি এসে যায়! যা পুড়ছে তাকে পুড়তে দেও যে মরছে তাকে মরতে দেও! জীবন বাঁচবে না , না বাঁচুক প্রতিবাদী মিছিলের সামনে দাঁড়িয়ে! বোবা সভ্যতা জ্বলে মরুক মাথা ঠুকুক আমাদের রক্তে আবার থুথু! শান্তি দেও ,শান্তি দেও ,শান্তি দেও ........... জীবন্ত যাতনার মাঝের কথাটুকু বলা হলো, শেষ হলো না অভিশপ্ত জ্বলন্ত পুড়তে থাকা! নটে গাছ মুড়তে মুড়তে পুড়ে গেলো, হলো না এ জীবনে বেঁচে থাকা!

কি অদ্ভুত না

কি অদ্ভুত না ...........কাব্য কাগজের উপর লেখা আর হৃদয়ের উপর কয়েকটা শুয়োপোকা হেঁটে চলা হৃদয়ের! কুট কুট ছারপোকার কামড় মাথার ভিতর, কিছুক্ষণের স্তব্ধতা আর স্মৃতিচারনা, কি অদ্ভুত না! আসলে স্মৃতিগুলো চুলকানি সব, কিংবা হৃদয়ের উপর দগদগে ক্ষত! কিছুতেই শুকোতেই চাই না মানতেই চাই না , ওই না গুলো সব! বোঝে না কেন জানি না, সব তো ইচ্ছে করলে পাওয়া যায় না, পাওয়া যায় না নিজেকে হারানোর মানে! কাগজ কুচিয়ে ,কুচিয়ে লিখতে থাকা টুকরো টুকরো স্মৃতির আঙ্গিনায় সময়! আর সময়ের পথে হাঁটতে থাকা এক অলিক যাত্রীর কল্পনা! আসলে আমরা সবাই বোধ হয় কষ্টকে ভালোবাসি, তাই রক্তাক্ত কষ্ট ভোলা যায় না! আর এই ছারপোকার যাতনায় তিড়িং বিড়িং, মন উড়ে চলে যেন জল ফড়িং! সব বুঝি তবু কিছুই বুঝি না, আর এই বোঝার জন্য ছারপোকার কামড়; কি অদ্ভুত না!

হায় প্রেম

হায় প্রেম .........কাব্য প্রেম,প্রেম ,প্রেম আঠালো প্রেম ,রক্তাক্ত প্রেম ,ক্লেদাক্ত প্রেম ,স্মৃতির প্রেম! কি আছে বলুন তো ? ফুটপাথে অগ্নিশিখা মনুষত্বের বলি! সকালের সূর্যে সৌর্য্য ঝরে, ঘামের সাথে কামের কি কাজ কি করি বলুন তো? প্রেম,প্রেম ,প্রেম এই প্রেম শব্দের মানে খোঁজে ডারউইনের বাদর! এই প্রেম শব্দ খুবলে খায় সভ্য মানুষ; শরীর আর মিডিয়ার সাথে কেমন আঠা ভাব! কিছুটা প্রেম বোধহয় উপছে পরে চোলিকে নিচে, কিছুটা উপছে পরে অভুক্ত চাঁদের গায়ে, আঁকিবুকি টানে লোভ! বোধহয় অভিধানে একটা মানে শরীরের গভীরে অন্ধকার পায়ে! প্রেম,প্রেম ,প্রেম কফিকাপে উপচে পরে কিংবা ভাঙ্গা গঙ্গার পারে হেলান দেওয়া শরীরে উপচে পরে! সময়ের কথা লেখা হয় নোংরামির গায়ে, হায় প্রেম ফুরিয়ে যায় ,, পা হরকায়! হামাগুড়ি দিয়ে লজ্জায় মুখ লোকায়, কি জানি সবার কথায় কথায় প্রেম প্রেম পায়!

নতুন কিছু না

নতুন কিছু না .............কাব্য হাফ শার্ট লিটল ম্যাগের প্রথম পাতা, প্রেম সে তো মধুর ,কভু কাছে কভু শুধু আজব তান্ডব! অ আ ক খ ছেড়ে খোকা দল বানিয়েছে, ফেসবুক না ,উজবুক না! অনিদ্রায় পেট গরম হয়েছে মাথার ভিতর হিংস্র হাতছানি সময়ের, অদ্ভুত পাবলিক! মায়ের কাছে মাসির গল্প কোনো নতুন কিছু না! এবার খসবে ,খসে পড়বে জড়ানো অঙ্গপ্রতঙ্গে ক্ষুদ্র ভূমিকা, কয়েকটা আলিঙ্গনের পরেই মিছিল! মিছিলের সামনে খোকা জবাব চাই ,জবাব দেও বাপরে কি অদ্ভুত না! খালি হবে না কোনো কার্তুজের বারুদ বৃষ্টি হবে না অসময়ের মিছিলে! বড্ড ফালতু যে এ দল বাঁচ আর বাঁচতে দেও ,পুরনো প্রবাদ, মারো আর বেঁচে থাকো! হাফ শার্ট লিটল ম্যাগের শেষ পাতা, খোকা গেছে মাছ ধরতে গাঁজা আর মদে ডুবে, খুব সাধারণ যে!

প্রেমের স্পর্শে

প্রেমের স্পর্শে ..... .......কাব্য যারা  প্রেমে পড়েছেন ,তাদের বলা, তোমাদের নীল রঙের স্বপ্নের থলির ইচ্ছাগুলোর  জন্ম মৃত্যু না চাইলে এমন করবেন না! যদি অন্তরের সম্পদের মানহানি না চান, তবে প্রেম স্পর্শ করবেন না! শোনা কথা তবু বলি প্রেমের রূপে মুগ্ধ হবেন স্বাবাভিক, কিন্তু দয়া করে হৃদয়ে গ্রহণ করবেন না! সেদিন অমুক দেশের কোনো নাগরিক একি ভুলে মৃত্যু দন্ড নিলেন! সবাই দেখলো ,বুঝলো ,ভাবলো আর ভুলে গেল! এমন হয় কারণ প্রেম স্বপ্নময়, এমন হয়ে থাকে কারণ প্রেম ছলনাময়! ভাবছেন বোধহয় আমি পাগল, হা হা সত্যি তো আমি পাগল, কারণ প্রেম করলে পাগল হওয়া স্বাবাভিক!!

পুড়ে ছারখার

পুড়ে ছারখার ............কাব্য শেষ বারের মত বিকেলে ঘ্রাণে কেমন এক মাটির গন্ধ পেলাম পোড়া মাটি  হে.... পুড়ে ছারখার! নদীর ধারে যেদিন তোমায় প্রথম কুড়িয়ে পেলাম প্রিয়, সেদিন আমার লাল রঙের লোভগুলো বলেছিল কানে কানে , খুব গোপনে আমি তোমায় ভালোবাসি প্রিয়, আবার ভালোবাসা বাসি! না হে আমি লোভি নয়, ও আমার ভিতরকার বাঁচার স্বভাব! লাল টুপি পরা এক সাহেব হেঁটে ছিল চৌরাস্তা ধরে, আমি নদীর ধারে আমার অভাব! সাহেব পেল কুড়িয়ে একটা শরীর রাস্তার ধারে আর আমি পেলাম তোমায়! হে হে সে যে তুমি নয়, আমার বাসনা ,কামনা আর একমুঠো বৃষ্টি! চোখের নোনা জলে এখানে দুকুল ভাসে, আর নদীর জল শুকিয়ে সে কি অনাসৃষ্টি, তবু ভীষন মিষ্টি নোনা জলে! শেষ বারের সূর্যে আঁকা তোমার প্রিয় মুখ!!

তোমার মনখারাপ মানে

তোমার মনখারাপ মানে ..................…....কাব্য মন ছুঁয়ে থাকা রাত্রের ঢেউতে আজ কেমন আনমনা ভাব! তুমি জানো , তোমার চলনে ,বলোনে জোনাকিরা পথ দেখায়! পথ দেখায় তোমায় রোজকার পান্ডুলিপি; আর আমি তো চিতিয়ে থাকি মাটিতে! বোবা ঘাস তুমি মাড়িয়ে যাও আনমনে, আমি তো দেখতে থাকি তোমায় তোমার প্রতিটি পদক্ষেপ আমার বুকে! তোমার আজ মনখারাপ তোমার শাড়ির আঁচলে বাঁধা মেঘলা দিন! তোমার শুকনো চোখের কোলে বাদলে রং বেড়ে যাওয়া লোভ আমার দিন প্রতিদিন! তোমার মনখারাপ মানে আমার রক্তক্ষরণ হৃদয়ের ; তোমার মনখারাপ হলে বৃষ্টি দিন খুশির স্মরণে, সব ছুঁয়ে থাকে তোমার মুখের হাসিতে, এক একটা দিন তোমায় ভালোবাসাবাসিতে! কেটে যায় ঠিক যেন স্বপ্নের ধারা, আজ ঘুম নেই চোখে ,আনমনা পাড়া!

ঘুম নেই চোখে

ঘুম নেই চোখে ..............কাব্য আমার কবিতার চোখে আজ ঘুম নেই, ঘুম নেই আমার হৃদয়ের স্তব্ধতার! যার জন্য আমি বাউলে প্রেমিক যে প্রেমের সন্ধানে আমি পাগলপারা, তার খোঁজে আজ তুলকালাম হৃদয়ের! হৃদয়ের বাসি ঘুম মাখানো চোখে, এক তৃষ্ণা! কবির কন্ঠে লেগে আছে বিষের স্পর্শ, স্পর্শ একমুহুর্তের চোখের দেখার নগ্নতার শিরশিরে শরীরের লেগে  থাকা নগ্ন বুকের মগ্নতা! আসলে প্রেম এমনি হয় পাথর খুঁড়ে রাত্রির সহবাস আর কবিতা! এক নিশ্বাসে আওড়ানো ওই লাইনগুলো, চুল তার কবেকার অন্ধকার বিদিশার নিশা; আমার স্বপ্নের নারীর কবিতা! এই কবিতা আজ আসলো না  খামচে ধরলো না লোমশ বুকের মাঝের প্রেমটুকু! দিল না আমায় তার নগ্ন উরুর স্পর্শ, হলো না আমার পাগলামির শেষ শান্তি, তাইতো  আজ আর আমার ঘুম নেই চোখে!

বাঁচো আমার প্রেম হয়ে

বাঁচো আমার প্রেম হয়ে .........................কাব্য তুমি থাকবেই আমি যখন বেঁচে আছি! তখন তুমিও থাকবে আমার সঙ্গে, আমার চেতনায়,আমার প্রেমে ,আমার নিশ্বাসে আমার সাথে প্রতি মুহুর্তে ,দিনে রাতে! তোমার চোখে কাজলে আমার প্রেম ছুঁয়ে থাকে, তোমার ঠোঁটের হাসিতে আমার হৃদয় রাখা থাকে! তুমি হাসো, আমি ভাসতে থাকি তোমার হৃদয় কোনের সুপ্ত স্বপ্নে! তোমার প্রতি নিশ্বাসে লেগে আছে একটা হালকা উষ্ণতা তার স্রোতে আমি ভেসে যায় আমার অস্তিত্বের ওপারে! যেখানে তুমি সদ্য ফোঁটা কুড়ি আর আমি এক জ্বলন্ত দাবানল যার স্পর্শে পুড়তে থাকো তুমি! পুড়তে থাকো প্রেমে, প্রেমের  আগুনে, আর আমি কি সেই প্রেম ছেড়ে দিতে পারি! পারি না গো, পারি না  তোমায় ছেড়ে বাঁচতে, আমি যে এক শুন্য পাত্র যার সবটাই শুন্য, সেই শুন্যে তুমি বাঁচো আমার প্রেম হয়ে!

ভালোবাসার টুকরোগুলো

ভালোবাসার টুকরোগুলো ............................কাব্য ভালোবাসার টুকরোগুলি খুঁজে ফিরিস তুই, জীবনের পাতার অর্থগুলো ভুলে গেলি তুই! তুই তো শ্রাবনের ধারা তুই এক বিশাল ইচ্ছা আকাশ! কেমনে বলি মন পাখি আমার হৃদয়ে তুই! আমি এক পথিক অন্ধকারে ভিজতে থাকি প্রেমে! শ্রাবন সে হোক ,বৃষ্টি ধারা যায় না সময় থেমে! চলতে থাকে চলার পথে পথের কোনে আলো! সেই আলোতে মনের পাখি বাঁচতে লাগে ভালো! আমার প্রেমের অর্থগুলোর জটিলতর ভাষা; সেই ভাষাতে বলতে গেলে মিথ্যা ভালোবাসা! জ্যান্ত ডাঙায় আমি তুমি মনের কোনে আশা, জীবন চলে আশা নিয়ে সঙ্গে ভালোবাসার!

এক ফালি প্রেম

এক ফালি প্রেম ...............কাব্য এক ফালি চাঁদ তুই আমায় দে দিতে দে তোর প্রেমের আলোয় চুমুক! তোর ঠোঁটে ঠোঁট ভিজিয়ে হতে দে আমায় তোর নেশায় কামুক! আমি যদি হয় সন্ধ্যে রঙের তারা তোর অঙ্গে লাগুক আমার হর্ষ! চল যদি চাস সব পেড়িয়ে তবে কাটুক সময় হাজার আলোকবর্ষ! তোর বুকেতে আমার প্রেমের আবির, আজ না হোক কাল তো আমার হবি! সেই রঙেতে বুকের রক্ত ফ্যাকাসে, আমি হব তবে তোর সপ্নে কবি! কাল সে আশার আজকে আসুক কাছে, জোত্স্না আমায় জড়িয়ে ধরে হাসে! কেউ না থাকুক জোত্স্নায় যায় ভেসে, এই পৃথিবী তোমায় ভালোবেসে! এক ফালি প্রেম চাঁদ তুই আমায় দে, আমি না হয় এই পৃথিবীর মাটি! তোর পিছনে সূর্য্য আছে বলে এই মাটিতে আশার জোনাকি বাতি!!

ফিরব'ই তোমাতে

ফিরব'ই তোমাতে .....................কাব্য আমি ঠিক তোমাতে'ই ফিরব শীতের কুঁয়াশা ডাকা ভোরেকিংবা গ্রীস্মের দুপুরের অশান্ত দাবদাহে ফিরবই তোমাতে ! হোক না সেটা শরতের মেঘহীন আকাশ ! বর্ষার দু'কুল ভাসিয়ে ছুটে চলা অশান্ত জলরাশী কালবৈশাখীর দমকা বাতাস ! কিংবা বসন্তে ছেয়ে যাওয়া মুকুঁলের মৌ মৌ গন্ধে ঠিক তোমাতে'ই ফিরব ! হেমন্তের নবান্ন উৎসবে আকা-বাঁকা মেঠো পথ ধরে সীমান্তের পর সীমানা পেরিয়ে তারপর একদিন; নস্টালজিয়ায় ফিরব'ই তোমাতে!

তোমার প্রশ্রয়ে

তোমার প্রশ্রয়ে .............কাব্য আমাকে প্রশ্রয় দেওয়ার মানেটা তুমি বুঝবে যেদিন দেখবে তুমি আর তুমিতে নেই! তুমি হারিয়ে গেছো কোনো ভিনদেশী তারায়, দেখবে তোমার শরীরে আমার গন্ধ সেই গন্ধে গোলাপের প্রেম ভরা! আমি থাকবো সেদিন ঠিক যেমন পরে থাকে অ্যাশট্রেতে ছাই! থাকবো তোমার ব্লাউজের নরম বুকে তোমার শাড়ির আঁচলে যদি ভালো করে খোঁজো, দেখবে আমি আছি তোমার আঁচলের প্রতি দোলায়! আমার কবিতার পাতায় পাতায় তুমি থাকবে পরে, কোনো অগোছালো এলোমেলো ঘরের কোনে! সঙ্গে থাকবে কিছু আঠা লাগানো স্মৃতি আর কিছু মুহুর্তের ভাঙ্গা গড়া খেলা , বিশ্বাস করো সেদিন ঠিক কাটবে বেলা! আমাকে প্রশ্রয় দেওয়ার মানেটা তুমি বুঝবে, বুঝবে যেদিন আমার শেষ সন্ধ্যার বাতি! আকাশের তারার পথে  দৃষ্টি  যাবে চলে, খুজবে তুমি তোমার প্রেমের সাথী , আর আমি তখন নীল আকাশের মাটি!

আমাকে চেনো

আমাকে চেনো ..............কাব্য আমাকে চেনো জন কলরব অতি সাধারণ জীবন যাপন! সদ্য পড়া গ্রীষ্মের রাস্তায় পাঁপড় ভাজা, সদ্য জাতের মুখে লাগা যুগের হাওয়া! ঠান্ডা কুল্ফিতে চোখ ,ঠান্ডা চোখ শরীর চাটা বিছানার চাদর! আর জন কলরব ,ব্যস্ত শহর ব্যস্ত শব্দের চলার বহর! আর কি আমাকে চেন প্রেম মুড়ি মুরকির একই দর! এই আদর ,আর এই শহর চেনা বৃষ্টিতে কাক ভেজা! ভিজে পথঘাট ভিজে মুখে ঘাম নিষ্পাপ কম বিশাল  দাম! সিগারেটে ঠোঁট প্রেমিকের ঠোঁট অনাহারে হৃদয় স্মৃতির মোট! সামনে আগুন ,আগুনে জীবন দর্শক আর ধর্ষক জীবন! বিবেক বাটিতে পচাগলা ভাত মাথায় ঘুরছে বড় বড় বাত! আমাকে চেনো জনসাধারণ আরো সাধারণ অন্ধকার রাত!

তুমি ভালো থাকবে তো

তুমি ভালো থাকবে তো ........................কাব্য নিরীহ অনুক্ষণ ,,দুরবীন দিয়ে দেখবো তোমায় আমার  প্রেমের কোনো রং নেই ,গড়ন নেই শুধু সর্বগ্রাসী প্রেম তোমার সর্বনাশ প্রিয়! ভালোভাবে ভেবেছো  আগে , আমার প্রেমের শরীর নেই! শুধু এক অদ্ভুত পাগলামী যা তোমায় জড়িয়ে, তুমি সেই মিশরের পিরামিড! চারপাশে বালি আর বালি ,ছড়ানো উষ্ণতা আর আকাশ ছোঁয়া এক চাহিদা! যা খারাপ হতে পারে না, পারে না হতে আমার অন্তর দহন! পাশা পাশি রাখা দুটো তৃষ্ণা একটা বড় দরজা যার ওপাশে আলো, সেই আলোয় ছড়ানো তৃষ্ণা ভালো থাকার ,সাথে থাকার! একটা আশ্রয় ,একসাথে স্বপ্ন দেখার,মিথ্যা নয় কিছু! আর কিছু নয় দরজার ওপারে ভালো থাকাটুকু, জীবনের সাথে জীবন জড়িয়ে যাওয়াটুকু! দেখলাম দুরবীন দিয়ে কিছুটা দুরত্বে, যেখানে রাখা স্বপ্নের ঘর ,আর এক মুঠো ভালো থাকা, প্রিয় তুমি ভালো থাকবে তো!

রূপবতী

রূপবতী ........কাব্য তোর রূপ আমি দেখেছি দূর থেকে যেমন দেখে চাঁদ ,সূর্য ওই বিশাল আকাশে কিন্তু তোকে আমি ছুঁয়ে দেখি নি! তোর রূপ আমি দেখেছি জোনাকির আলোয় অন্ধকারে হাত বাড়িয়েছি বহুবার কিন্তু এ হাতে জোনাকি স্পর্শ করি নি! আমার কবিতার খাতায় তোর নাম লেখা তোর স্পর্শ লাগে আদুরে হাওয়ায় এত কাছে তুই কেন তোকে পাওয়া হয় নি! কোথায় ছিলিস তুই ,তোর এই রূপ যার আগুনে আমি পুড়ে ছারখার কেন বল তুই তোর স্পর্শ দিসনি! আমি মেঘে ঢাকা তারা ,আমি গোধুলির  আলো যাকে তুই স্পর্শ করিস ,আদর করিস চিরকাল কিন্তু তাকে ভেবে দেখিস নি! আমি তোর ভালো থাকার রুপকথা এক খোলা আকাশের নীল ধ্রবতারা কিন্তু তাকে তুই ভালোবাসিস নি! শুধু রূপ আর রূপ ,বড় গুমর তোর রূপের আজ তাকে ভাঙবো আমি ,স্পর্শ করবো হৃদয়ে যা তুই আগে স্বপ্নে দেখিস নি!

যদি পাখি হতাম

যদি পাখি হতাম ...............কাব্য দু হাত ছড়িয়ে একটা নিশ্বাস এক পাখির স্বপ্নে দেখা আকাশ যদি পাখি হতাম! তোর দুয়ারে বসে  আঁচলের ছায়ায়, খুটে খুটে খেতাম! আর হতাম তোর খোলা আকাশ আমার ডানায় ,আমার মায়ায়! তুই উড়তিস আমার সাথে গ্রাম ছাড়া ওই রাঙা মাটির পথ! কি দারুন হত সবুজের মাঝে নীল মিলেমিশে একাকার! আকাশ থেকে দেখতিস আমার চোখে পৃথিবী, যেখানে লোভ নেই,নেই চাওয়া পাওয়া শুধু প্রেম আর প্রেম এর বৃষ্টি! কেউ থাকতো না সাথে কোনো টান ,কোনো মান অভিমান! শুধু এক আকাশ স্বপ্ন বুকে এক পাখি, আর এক মুঠো অন্তরদহন তুই প্রেম! বেশ হত না;সেদিন চৈত্র মাস তোমার চোখে দেখেছিলেম আমার সর্বনাস! সেই সর্বনাসের শেষ টুকু আমি পাখি, আর তুই খোলা আকাশে দেখা আমার স্বপ্ন পরী!

আমি নারী ,আমি শরীর

আমি নারী ,আমি শরীর ..........................কাব্য বিষাক্ত বালিশে শুয়ে কি অদ্ভুত আমার স্বপ্নের নারী আজ নগ্ন! জান্তব হাহাকারের মাঝে কি সাহস, আমার নারী আজ নগ্ন! আমি প্রশ্ন করলাম তুমি নগ্ন কেন? উত্তর তুমি ও তো নগ্ন পুরুষ! তোমার তিন নম্বর পায়ের যোগ্যতায় তুমি পুরুষ যুগে যুগে নারীকে ছুঁয়েছো ইচ্ছেমতো! ভোগ করেছো ,ছিঁড়েছো  খেয়েছো করেছো সন্তানবতী আলাদা করে আর লোকানোর কি আছে আমার! তুমি তো এটাই চাও ,ইচ্ছা বা অনিচ্ছা এই শরীর, তবে কি দিয়ে ঢাকবো নিজেকে! এসো আমায় ভোগ কর ,,,ঢেকে দেও কামের আগুনে, আর কি পারো তুমি পুরুষ! তোমার লজ্জার কোনো জাত নেই, আমার ছিল আর নেই তোমার স্পর্শে! আমি বললাম এ কেমন কথা হলো; তুমি মাতা ,তুমি ভার্যা ,তুমি সহসঙ্গিনী! উত্তর পেলাম ওসব সাজানো কথা রাখো, আসলে আমি শরীর,এটাই আসল কথা!

কাঙালী প্রেম

কাঙালী প্রেম ............কাব্য কি পাঠালি আমাকে ছোটো খামে ভরে, তোর ঠোঁট দুটো , ভীষন মিষ্টি ছিল ওটা! কি দেখলি তোর চোখ দিয়ে আমাকে, ভিষণ সপ্নিল ছিল ওটা! আচ্ছা বলতো তোর গায়ের গন্ধের রং কেমন, কেমন তোর গভীর হৃদয়ের পথ! কত দূর যেতে হবে সেটা ছুঁতে একটু বলে দে ঠিকানাটা তোর হৃদয়ের আমার হৃদয় ছুটবে তোকে পেতে! কি পাঠালি তুই আমাকে একটা হৃদয়, একটা স্পর্শ খুব গভীরে এই খামে! একটা স্বপ্নের রং  তোর আকাশে, আর আমার তো সবটাই খালি, প্রিয় তুই জানিস ভালোবাসা চোরা বালি! ডুবতে হবে হাত ধরে একসাথে ,একক্ষণে কি রে পারবি তো ? পারবি তো আমার হাত ধরতে পারবি তো আমার গভীরে আসতে, বলনা প্রিয় পারবি তো আমায় ভালোবাসতে! আজ থাক এতটুকু তোর স্পর্শ মানে না জানিস ,আমার সবটাই চাই! তবু বলি ,হাসতে থাকি মনে জানিস এ মন তোকে আরো ভালোবাসতে চাই , পারবি তো প্রিয় তুই ভালোবাসতে আমার মত!!

চোখের চৈত্র

চোখের চৈত্র ..........কাব্য হঠাৎ সেদিন চোখ পড়েছে তোমার চোখের কবলে দিনটি ছিল চৈত্র মাসের অস্তরাগ এক বিকেলে- হয়নি ফেরা সেই থেকে আর পুড়ছে সময় আগুনে, সুখের ভ্রূণে বৃক্ষ হবো তোমার দেয়া ফাগুনে!! (ছোট গল্প) 

সময়ের চোখ

সময়ের চোখ ...........কাব্য যদি বলি সময়ের চোখ বড় রঙিন আজ অন্ধ ভিখারীর বাটিতে যদি ঝরে কদম ফুল! যদি সুনামি নামে এই বুকে তবে তোমার ক্যাকটাসে আবার অন্য ফুল! রাস্তার চেটে যাওয়া কুকুরের  ঘ্রাণে সোনালী খিদে ,বিষাক্ত নীল শরীর! শরীরে পদ্মফুল ,রজনীগন্ধার গন্ধে শুকিয়ে যাওয়া  আর শুকিয়ে গিয়ে মরি! আবার এক আদুরে হওয়ার  দিন চৈত্রের সূর্যের সাথে কাল বৈশাখীর ঋণ! উড়ে যাওয়া পাতাদের বিছানায় শীত্কার হৃদয়ে আছে তার কিছু স্বপ্ন রঙিন! তোমায় বলি নি কখনো বোঝো শব্দগুলো ভাঙ্গা ঘর আর সাজানো অন্তর গুলো! অন্তরে রাখো ক্ষুদ্র এক স্থান আমার আর বৈকুন্ঠের প্রেমে আমার চালচুলো! যদি বলি সময়ের চোখ বড় রঙিন আজ আর চোখে লেগে আছে বিস্তির্ন্য সমুদ্র! আর সেই সমদ্রের বালিতে ভাঙ্গা ঝিনুক তোমার কুড়ান শৈশবের  রৌদ্র!!

অন্য হাওয়া

অন্য হাওয়া ..........কাব্য খোলা হাওয়ায় ছুঁয়ে যায় তোর স্পর্শ, উত্তপ্ত মাটির গোধুলি বেলায় বাতাসে তোর নিঃশ্বাস একটা অন্য হাওয়া! জীবনের পরে যদি কিছু থাকে যদি কোনো অদৃশ্য পাঁচিলের ওপারে কিছু থাকে সেই তুই প্রিয়! আমার জামার ছেঁড়া বুকের এক আধুলি বল এতদিন কোথায় ছিলি ? আমার নিঃশ্বাসে,আমার বিশ্বাসে প্রিয় তুই ছুঁয়ে যাস! ছুঁয়ে যায় তোর আদুরে মুখ আমার খোলা বুকে ভীষণ সুখ ,ভীষণ সুখ অনন্ত অপেক্ষার এক দীর্ঘ বেলা! জীবন চলে যেন বিশাল সমুদ্রে এক মুঠো নৌকো টালমাটাল মাটির দুরে অদৃষ্ট অলংকার! আর প্রিয় তুই যেন এক খোলা হাওয়া, ছুঁয়ে যায় আমার ঠোঁটে ,মুখে জ্বলন্ত দিনে রাতে! ঠিক যেমন বৃষ্টি ভেজা রাত মাটির গন্ধ আর সুবাতাস আমার এক সমুদ্র প্রেম যেন বাতাসে! অতি পরিচিত গন্ধ ছুঁয়ে যায় কত জানা ,কত চেনা ,কত কাছের এক স্পর্শ; খুব গভীরে রেখে চলে যায়! কি জানি অন্য হাওয়া আমায় স্পর্শ করে, গাছের পাতায় শিরশির আদর! নেমে আসে একরাশ তৃপ্তি ভারী মিষ্টি তোর গন্ধ!!

নিজেকে খোঁজা

নিজেকে খোঁজা ...............কাব্য ক্ষয়ে যাওয়া বোবা শব্দরা অক্ষর খোঁজে, ঝরে পরা শিশিরের কুচোগুলো! মাড়িয়ে চলে সময় অসময়ে বড্ড তৃষ্ণা নড়েচরে আসে ট্রামের মতো! কিছু  শব্দ আমাকে ভীষণ ভালোবাসে! আকাশে গোল ছাতায় তারাদের সাতকাহন কিছু তারা কখন যে খসে যায়! কখন যে জীবন হাসে আকাশে চাঁদে, কখন যে জীবন দুরে চলে যায়! আর সময়  জ্বলন্ত চিতায় পুড়তে থাকে! আশা বড় আশা তোমায় ছুঁয়ে থাকে, তোমার স্পর্শ আসলে হৃদয় ভালোবাসে! কবিতার খাতা যখন রক্ত চোষে সূর্য ছোটায় চিতা বৈশাখ চৈত্র মাসে! আর তখনি আমার তৃষ্ণা পায়! তৃষ্ণা আকাশ ,তৃষ্ণা বাতাস তৃষ্ণা সুরে ,বহুদূরে ,তোমায় ছুঁয়ে থাকে! আমি যখন লাগামছাড়া পঙ্খিরাজে চড়ি পাঁকের মাঝে পদ্মগুলো মিছে খুঁজে মরি! বন্য এই জংলি প্রেমে তোমায় জড়িয়ে ধরি! ক্ষয়ে যাওয়া জীবনের পাতা জীবন খোঁজে, খোঁজে প্রেমটাকে তোমার হৃদয় অভিধানে! আমি শুধু মুক্ত আকাশে সময় খুঁজি, তোমার কিছু লোকানো জমানো অভিমানে! আসলে আমি তোমার মাঝে নিজেকে খুঁজি!!

পথের ভিখারী

পথের ভিখারী .............কাব্য তোমার পুরনো শহর ছেড়ে আমি আজ  পথে নেমে এসেছি! পাশের ফেরিওয়ালাদের চিত্কার প্রেম চাই ,প্রেম! আর আমি হাসছি আর ভাবছি তোমায় আমি পিছনে ফেলে এসেছি! দু হাত ঝেড়ে এক নিশ্বাস এই পৃথিবীর নতুন গন্ধটা মাখতে চাই! ফুটপাথে মাটির ভাঁড়ে ঠোঁট রেখে, খুব সাধারণ আমি থাকতে চাই! আর যাই হোক নতুন শহরে অচেনা তোমায় আমি পেতে চাই না! পায়ের সাথে পা মিলিয়ে স্মৃতির পথে তুমুল বৃষ্টিতে ,তুমি বলেছিলে ছাতা হবে! কিন্তু ছাতা ঝড়ে উড়ে যাবে আচমকা বৃষ্টিতে তুমি ভেজাবে তাতো বলোনি আগে! এই তো আমি ভিজে কাক আর তুমি শাকের আড়ালে লুকোনো মাছ! এ এক ঝক্কি,সস্তার তিন অবস্থা প্রেম যে সস্তা হয় তা জানি না! জীবন যে এত মনোরম তোমার শহরে, তা জানলাম আজ তুমি হৃদয় ভাঙলে! তাইতো তোমার পুরনো শহর ছেড়ে আজ আমি পথের ভিখারী!!

আমায় আশ্রয়

আমায় আশ্রয় .............কাব্য প্রেম যদি বৃষ্টি হয়ে নামে ভরা বৈশাখে আমি যদি তপ্ত রৌদ্রে ভিজে তোমাকে ডাকি! তুমি কি আসবে আমার এই বিন্ধ্য বুকে তুমি কি মাথা রাখবে! আমি যদি হয় ঝড়ের প্রথম মুহূর্ত তুমি কি হবে আমার লাল আকাশ!! আমি যদি প্রবল বেগে আসি তুমি কি উড়বে শুকনো পাতার মতো! উড়তে থাকবে আমার সাথে অন্য হাওয়ায়! ভরা শ্রাবনে যখন ভেজা পথ ঘাট, তুমি বসে আছো জানলার ধারে একলা আকাশ! আমি যদি ছিটকে আসি তোমার চোখে মুখে, তুমি কি হাত বাড়িয়ে নেবে এক আঁচলা জল! নাকি মুখের উপর দরজা বন্ধ করে দেবে! যেদিন আকাশে থাকবে না কোনো আলো আমি যদি সেই আঁধার আকাশ হই! তুমি কি হাসবে চাঁদের মত আমার বুকে, তোমার জোত্স্নায় আমাকে ভাসিয়ে, তুমি টানবেতো আমায় তোমার বুকে! রৌদ্র মায়া,রৌদ্র ছায়ায় ,আমার শীতল বেলা; আমি ঘুম ভেঙ্গে দেখবো তোমার মুখ! সূর্য পোড়া বিকেলবেলায় আমি ক্লান্ত পায়ে, এগিয়ে যাবো তোমার দিকে তুমি দেবে তো তখন আমায় আশ্রয়!!

কি লিখবো তোমায় নিয়ে?

কি লিখবো তোমায় নিয়ে ...........................কাব্য কি লিখবো আর তোমায় নিয়ে? কত গল্প কবিতা রয়েছে পড়ে, শুধু তোমায় নিয়ে এই মনের ঘরে! কি লিখবো আর তোমায় নিয়ে? মন পড়ে রয় শুধু তোমার পানে, তোমাতেই হতে চাই বিলিন গোপনে! কতবার আমি চেয়েছি তোমার পানে! বর্ণনা করব কি করে বল তোমাকে, তুমি থাকো আনমনে কার আকাশে? যত প্রেম আজ কেঁদে মরে, যত যাতনা আজ মনের ঘরে! শুধু তুমি দিলেনা প্রেমের দক্ষিণা! অস্ত যাবে যেদিন এমনে সূর্য দিঘল, ভালবাসা হয়ে যাবে পাথর কঠিন- সেদিন এসো প্রিয় তুমি কোমলার প্রদীপ হাতে!!